ভারি বৃষ্টিতে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে বাড়ছে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি। বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশের ছয়টি নদীর পানি সাতটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
এরই মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং উজানে দেশের বাইরের অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গঙ্গা-পদ্মা ও কুশিয়ারা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালায় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের (জলপাইগুড়ি, সিকিম) বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে ওই সময়ে মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান (তিস্তা, আপার আত্রাই, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, টাঙন, পুনর্ভবা ও কুলিখ) নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে, দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে এবং করতোয়া নদীর পঞ্চগড় পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে বা কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলেও জানান আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১১৪ এবং শ্যাওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া পুরোনো সুরমার পানি দিরাইয়ে ১২ সেন্টিমিটার, বাউলাইয়ের পানি খালিয়াজুরীতে এক সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরীর পানি কমলাকান্দায় ২২ সেন্টিমিটার এবং তিতাসের পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি ছিল। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সিলেটে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
Author: Nilshir
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.



0 coment rios: