দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগ ডে বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। রবিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ থেকেও এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-৪৫১৫/২০২২ এর একটি আদেশে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে সব ধরনের অশ্লীলতা, নগ্নতা, ডিজে পার্টি, অশোভন আচরণ, নিষ্ঠুর ও নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং বুলিং অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, হাইকোর্ট ডিভিশনের উল্লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্তরূপ কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ইউজিসি সূত্র জানায়, হাইকোর্টের নির্দেশনা কার্যকর ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিশন কাজ করছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েল পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের নির্দেশনা দেবে কমিশন। দু-এক দিনের মধ্যেই এ নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
গত ৭ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডের নামে ডিজে পার্টি, উদ্দাম নৃত্য, বুলিং, অশ্লীলতা ও নগ্নতা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান। পরে ১৭ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে র্যাগ ডের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং, নগ্নতা ও অপসংস্কৃতি বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সর্বশেষ
মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২
সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২
৬ মাস বয়সেই কথা বলল শ্রেয়া ঘোষালের ছেলে!
by Nilshir
অবশেষে ছয় মাস পর ছেলের পূর্ণাঙ্গ ছবি সামনে আনলেন শ্রেয়া। সোমবার (২২ নভেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ছেলের হয়ে বলা কিছু মিষ্টি কথা। যেন ছোট্ট শিশুটিই সবাইকে বলছে তার কথাগুলো।
ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘হাই এভরিবডি। আমি দেবযান এবং আজ আমি ৬ মাস পূর্ণ করলাম। বর্তমানে আমি আমার চারপাশের পৃথিবী অন্বেষণে, আমার প্রিয় গান শুনতে, সমস্ত ধরণের ছবির বই পড়তে, বোকা জোকসে উচ্চস্বরে হাসতে এবং আমার মায়ের সঙ্গে গভীর কথোপকথনে ব্যস্ত আছি। মা-ই একমাত্র আমাকে বোঝে। তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ আমাকে ভালোবাসা আর আশীর্বাদ পাঠানোর জন্য।’
ফেসবুকে শ্রেয়ার এই পোস্ট দেখে খুশিতে আত্মহারা ভক্তরা। মাত্র ৬ ঘণ্টায় তার পোস্টটিতে প্রায় আড়াই লাখ রিঅ্যাকশন পড়েছে। হাজার হাজার মন্তব্যে ভরে গেছে কমেন্ট বক্স।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছোটবেলার বন্ধু শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন শ্রেয়া ঘোষাল। বিয়ের আগে তারা দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। গত ৪ মার্চ টুইট করে শ্রেয়া জানান তিনি মা হতে যাচ্ছেন। এরপর ২২ মে সন্তান জন্ম হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘ঈশ্বরের কৃপায় আমাদের ছেলে হয়েছে। শিলাদিত্য এবং আমি ভীষণ খুশি। খুশি আমাদের পরিবারও।’
শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
যেভাবে এলো ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’
by Nilshir
‘আজ আমার মন ভালো নেই’ কথাটি কারণে-অকারণে প্রায়ই আমরা বলে থাকি। চিরচেনা এই কথাটি এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটদুনিয়া, যা রিতিমতো ভাইরাল। ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’ কথাটি এখন ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়। দেশের জনপ্রিয় তারকা শিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের অনেক শিল্পীর মুখেও শোনা গেছে মন খারাপের এই কথাটি। আর সাধারণ মানুষের কথা তো আছেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটি চট্টগ্রামের ভাষায় একটু মজা করেই বলা। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে মন ভালো না থাকার একটি বড় কারণ। আর যার মন ভালো নেই সে হলো- চট্টগ্রামের তরুণ নির্মাতা কাজী হান্নান আহমেদ উৎস। কিভাবে তার এই বক্তব্য ছড়িয়ে গেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
উৎস’র ভাষ্য, ‘আমরা একটা ওয়েব সিরিজ করি, যেটা ১৫ পর্বের। আর এর নাম হচ্ছে চট্টগ্রামের ভাষায় “ডরাইল্ল্যা ভূত”। আমি সিরিজটি শুটিং শুরু করি পেছন থেকে মানে, ১৫-১৪-১৩ এভাবে। ১ নম্বরে এসে যখন শেষ করেছি, তখন জানতে পারলাম মাঝখানের একটি পর্ব আমরা করিনি। সবাই খুব প্রেশারে ছিলাম আর আমরা তেমন প্রফেশনালও না, তাই ভুলটি হয়। আরও একটি কারণ ছিল এটি আমাদের প্রথম কাজ। তখন আমার মনটি খুব খারাপ হয়ে যায়। কাজটি করেছিলাম চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। তাই ওখানে যাওয়া, নতুন করে শুটিং করা, খরচ বেড়ে যাওয়া, নানা ঝামেলা- এসব কারণে তখন আসলেই মন খুব খারাপ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন আমি আমার কাজিনকে (ফাহাদ বিন ওয়াহিদ সাকিব) বলি আমার মন ভালো নেই। তখন সে বলে, কি আর করার কষ্ট করে মাঝের সেই কাজটি আবার করতে হবে। আচ্ছা চল একটা অডিও বানাই, হয়তো মন ভালো হয়ে যেতে পারে! তখন আমি ওকে বলি, কি অডিও বানাবো আর কি শিরোনাম দিবো। সেসময় আমার মনে আসে শিরোনাম তো এটাই হতে পারে- “আজকে আমার মন ভালো নাই”। তখন আমরা দু’জন মিলে এই অডিওর কাজটা শুরু করি। এরপর এটি তৈরি করে আমরা নেটে ছাড়ার পর দেখলাম এটি ভাইরাল হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারত ও বিভিন্ন দেশে দেখলাম এই ডায়ালগটা ক্যাপশন হয়ে গেছে “আজকে আমার মন ভালো নেই”। মন খারাপ বা মজা করে সবাই এখন বলছে- আজকে আমার মন ভালো নেই।’
ভাইরাল হওয়ার পেছনে উৎস মনে করেন আরও একটি কারণ আছে। আর তা হলো; আজকে আমার মন ভালো নেই- কথাটি তিনি একটু ব্যথা নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তার এই কথার ভঙ্গিটি দেশের মানুষের মন কেড়েছে। আর সে কারণে এটি ভাইরাল হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
কী ছিল তাদের বানানো অডিওতে জানতে চাইলে কাজী হান্নান আহমেদ উৎস বলেন, গল্পটা ছিল এমন- এখানে একজন পরিচিত দোকানদারকে আমি ফোন করি। তাকে বলি, একটা কথা বলবো। তখন সে বলে কি কথা। আমি বলি, আজকে আমার মন ভালো নেই। দোকানদার খুব রাগী মেজাজের। কিন্তু সে শান্ত কণ্ঠে বলে, কেন তোর মন ভালো নেই। তুই দোকানে আয়, বসে আড্ডা দেই। তখন আমি বলি, না আসবো না। দোকানি বলে, কেন আসবি না। আমি বলি, কারণ আমার মন ভালো নেই। শেষ পর্যন্ত দোকানি বলে, কোথায় যাবি তুই ঘুরতে যাবি সীবিচ (সমুদ্র সৈকত)। আমি বলি, সেখানেও যাবো না। তার কারণও হচ্ছে আজকে আমার মন ভালো নেই। এই মন ভালো নেই-এর গল্পই এখন নেটদুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
চট্টগ্রামের ছেলে কাজী হান্নান আহমেদ উৎস’র কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখন তার মন ভালো আছে কি-না? উত্তরে সে বলে, ‘২০২২ সালটা আমার মন ভালো থাকবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ আমার এই ডায়লগটা এখন দেশের জনপ্রিয় তারকা থেকে অন্য দেশের তারকারাও বলে যাচ্ছে। ভালোই লাগছে। মনে হচ্ছে “মন ভালো নেই” দিয়ে আমি সবার মন জয় করেছি।’
আপনার এই মন ভালো নেই দিয়ে তো এখন নানা পোশাকও তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি কী জানেন, ‘হ্যাঁ, ছেলেদের অনেক টি-শার্ট, রুমাল, মাস্ক, পানির গ্লাসসহ নানা কিছু তৈরি হচ্ছে। ভালোই লাগছে, ডায়লগ শুধু কথায় না কাজেও ব্যবহার হচ্ছে। বেশ আনন্দ পাচ্ছি। মানুষকে কিছুটা হলেও তো আনন্দ দিতে পেরেছি- এটাই আমাদের বড় পাওয়া।’ বললেন তরুণ এই নির্মাতা।
আগামীর ভাবনা জানতে চাইলে উৎস বলেন, ‘ভালো ভালো কাজ দিয়ে মানুষকে আরও আনন্দ দিতে চাই। সঙ্গে থাকবে সামাজিক নানা বার্তাও। আমার নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। শুধু নিজের চ্যানেলের জন্যই নয়, বড় পরিসরে কাজ করার ভাবনাও আছে। আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়া থাকলে একদিন ঠিকই লক্ষে পৌছাবো।’
কোরবানির পশুর দাম বাড়ার আশঙ্কা
by Nilshir
এবারের বন্যায় সিলেটসহ ১৫ জেলায় ৬ হাজার ৬৬২টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৩১ কোটি ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ৫৫৯০টি খামার। ফলে ঈদুল আজহাকে ঘিরে এখনও জমে ওঠেনি পশুর হাট। বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলোতে গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন খামারিরা। বেড়ে গেছে পশুখাদ্যের দামও। ফলে কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর দাম বাড়তে পারে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা: দেশীয় পশুতে কোরবানি, খামারিদের সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সহায়তায় সেমিনারের আয়োজন করে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরাম (এফএলজেএফ)।
এফএলজেএফ’র সভাপতি এম.এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস.এম জাহাঙ্গীর হোসেন, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউল আহাদ সরদার, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, এফএলজেএফ'র সধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমন ও বিডিএফএ’র সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ এমরান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএলজেএফ’র অর্থ সম্পাদক কাওসার আজম।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, এ বছর কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯। কোরবানির জন্য কোনো সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই।
তিনি বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে গবাদি পশু কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোরবানির সময় যাতে ওই অঞ্চলে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে পশু যেতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকার সব সময় খামারিদের পাশে থাকবে।
পদ্মা সেতুর সুফল তুলে ধরে শ ম রেজাউল করিম বলেন, এখন দক্ষিণাঞ্চল থেকে খুব দ্রুত পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে। কোনো যানজট নেই। চাঁদাবাজি নেই। পদ্মা সেতুর কারণে এবার ঈদে খামারিরা লাভবান হবেন। অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে পদ্মা সেতু।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠন, গোখাদ্যের মূল্য কমানো, উন্নত জাতের পশু আমদানির সুযোগ ও বিদ্যুৎ বিল কমানোসহ নানা দাবি তুলে ধরেন।
রাবির সোহরাওয়ার্দী হলে অবৈধদের নামিয়ে ১১ শিক্ষার্থীকে হলে তুললেন প্রাধ্যক্ষ
by Nilshir
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত অবৈধদের নামিয়ে আবাসিক ১১ শিক্ষার্থীকে হলে তুলেছে হল প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের রুমে তুলে দেন।
এর আগে আবাসিক শিক্ষার্থীরা পূর্ব নির্দেশ অনুসারে বিকেল থেকেই হলের সামনে এসে ভিড় করতে থাকে। বিকেল ৪টায় অভিযান চালানোর কথা থাকলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক না আসায় সেটি বিলম্ব হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার পর হলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ফেরদৌসী মহল এসেই উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলকে হল থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। তারপর হল প্রশাসনের সঙ্গে প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে মিটিংয়ে বসেন।
সন্ধ্যা ৭টার পর জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর হলে আসেন। এসে তারা হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে মিটিং করেন। মিটিং শেষে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১১ জন শিক্ষার্থীকে হলে তুলে দিয়েছে প্রশাসন। বাকি সাতজনকে তোলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
হল সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৯৪টি আসন খালি হয়। এরপর হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে ভাইভা নিয়ে অ্যাকাডেমিক ফলাফল ও অন্যান্য বিবেচনায় ৬৬ জন শিক্ষার্থীকে হলে আসন বরাদ্দ দেয়। তবে এই ৬৬ জনের মধ্যে মাত্র ২২ জনকে তাদের আসনে তুলতে পেরেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৯৪টি আসনের বিপরীতে ৭২টি দখল হয়ে আছে। বৈধভাবে যাদের আসন দেওয়া হয়েছে, তারাও অনাবাসিক দখলদারদের দ্বারা হুমকি পাচ্ছেন। এমনকি হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এর পরিপ্রক্ষিতে গত ২৩ জুন হল শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশের মাধ্যমে হলে অবস্থান করা অনাবাসিক, বহিরাগত ও অন্য হলের শিক্ষার্থীদের ২৯ জুনের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থী তার সমস্যার বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ২৮ জুনের মধ্যে অভিভাবকসহ হল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ফেরদৌসী মহল বলেন, ‘আমরা কাজ করতে চাই। প্লিজ আপনারা নিউজ করবেন না। আমাদের কাজ আমাদেরকে করতে দেন।’
প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরাদ্দ দেওয়া আবাসিক ১৮ জন শিক্ষার্থীকে আজই (শুক্রবার) হলে তুলে দেবো। ইতিমধ্যে ১১ জনকে তুলে দিয়েছি। অনেক রুমে তালা দেওয়া আছে, তাদের আধাঘণ্টা সময় দিয়েছি। তার মধ্যে না আসলে তালা ভেঙ্গে তুলে দেওয়া হবে।


