একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু অনিদ্রার সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ সহজে ঘুমাতে পারেন না। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনতে পারে নানা শারীরিক অসুস্থতা। তাই বয়স নির্বিশেষে সবারই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
রাতে ঘুম না আসার এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘ইনসমনিয়া’। এ সমস্যায় আক্রান্তরা যেমন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে পারেন না, তেমনই একবার ঘুম ভেঙে গেলে পুনরায় ঘুমাতে মারাত্মক অসুবিধা বোধ করেন। অনেক কিছু মেনে চলেও ‘ইনসমনিয়ার’ হাত থেকে রেহাই পাননি বহু মানুষ। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি যোগাসনেই পারে অনিদ্রার অসুখ থেকে সহজে মুক্তি দিতে।
সর্বাঙ্গসন: এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর পা দুটি জোড়া করে উপরে তুলুন। এবার দুই হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। এ সময় থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। আর দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন ৩-৪ বার এই আসনটি করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে।
তাড়াসন: প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ সময় পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। এবার শ্বাস নিন। হাত দুটিকে ওপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যেতে হবে। তারপর দুই হাতের আঙুল জড়িয়ে নিন। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এরপর শ্বাস নিতে নিতে মাথার ওপর হাত দুটি নিয়ে যাবেন। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে ওপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিবেন। এবার গোড়ালি নীচে নিয়ে তারপর শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন ২-৩ বার এই আসনটি করতে পারলে সুফল পাবেন।
বৃক্ষাসন: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত দুটি নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তারপর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের উরুর ওপর নিয়ে আসুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কার ভঙ্গিতে সমান ভাবে মাথার ওপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। ধীরে ধীরে এবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন বেশ কয়েক বার এই আসনটি করলে অনিদ্রার সমস্যা চিরদিনের মতো বিদায় নিবে।
বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
Author: Nilshir
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.



0 coment rios: