বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

একটু পরিশ্রমেই কি হাঁপিয়ে ওঠেন

বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষের শারীরিক সামর্থ্য ততই কমতে থাকে। দ্রুত হাঁটলে, খানিকটা দৌড়ালে, সিঁড়ি ভাঙলে, কিংবা কোনা কাজ অল্প করতেই যদি শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়, অনেক বেশি পরিশ্রম করার মতো অনুভূতি হয়—তবে এটা মারাত্মক চিন্তার বিষয়। ফিটনেস কমতে কমতে এমনটা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে সারাক্ষণ চনমনে থাকতে পুষ্টিবিদরা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক সময়ে সেসব খাবার খাওয়ার পরেও সারাদিন ক্লান্ত লাগার অনুভূতি হয়। সময় মতো পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও কেন ক্লান্তি আসে, তা অনেকের কাছেই হয়তো ধারণার বাইরে। এমন সমস্যার বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, শারীরিক অন্য কোনো অসুস্থতা থাকলে, খাবার ঠিক মতো হজম না হলে, অসময়ে খাবার খেলেও ক্লান্ত লাগতে পারে। আবার কাজের চাপ বেশি থাকলেও অনেক সময়ে ক্লান্তি ঘিরে ধরে। এই সম্ভাব্য কারণগুলো ছাড়াও চিকিৎসকরা বলছেন, সারাদিন ক্লান্ত লাগার অন্যতম একটি কারণ হলো ভিটামিন বি১২-এর অভাব। উপমহাদেশে এই ভিটামিনের অভাবে ভোগেন প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ। নিজেকে সুস্থ ও সচল রাখতে বিভিন্ন ভিটামিনের প্রয়োজন আছে। ভিটামিন শরীরের ভেতরেই তৈরি হয়। আবার প্রতিদিন যা খাবার খাওয়া হয় সেখান থেকেও ভিটামিন পাওয়া যায়। তবে ভিটামিন বি১২ শরীরে তৈরি হয় না। খাবার থেকেই পাওয়া যায়। ভিটামিন বি১২ শরীরের অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, খিদে কম পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এমনকি রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। রক্তশূন্যতার প্রভাবে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্প কাজ করলেই হাঁপিয়ে ওঠে। বুক ধড়ফড়ও করতে পারে। ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি স্নায়ুর সমস্যারও কারণ হয়। এই কারণগুলোর জন্যেই মূলত সারাদিন ক্লান্ত লাগতে পারে। তবে ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে এই ভিটামিনের ঘাটতি কমানো যেতে পারে। কোন কোন খাবারে আছে ভিটামিন বি১২ নিরামিষ খাবারে এই ভিটামিনের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। বরং প্রাণিজ খাবারে ভিটামিন বি১২ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। দই, দুধ, ডিম, মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস, সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন বি১২ বেশি করে থাকে। একটু পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠলে নিয়ম করে এই ধরনের খাবার খেতে পারেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

1 টি মন্তব্য: